প্রতিষ্ঠা ও সূচনা:
২০১৭ সালে মৌলভিবাজার জেলার সহিহ আকিদার প্রচার ও প্রসারের জন্য ছোট্ট একটি লাইব্রেরী (দারুস সালাম লাইব্রেরী) প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর প্রচার ও প্রসারের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে প্রতিষ্ঠা করা হয় “মাসজিদ ওমর এন্ড অলিভ ট্রি কোরআন একাডেমি”। এলাকার কিছু যুবক একত্রিত হয়ে ইসলামিক শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের জন্য এই উদ্যোগ নেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কোরআন, সহিহ সুন্নাহ ও বিশুদ্ধ আকিদার শিক্ষা প্রদান করা।
প্রথম দিনেই এখানে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়। প্রথমদিকে মাদ্রাসাটি খুবই ছোট ছিল এবং একমাত্র একটি কক্ষেই সব ক্লাস চলত। কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে দ্রুতই এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রসার ও উন্নয়ন:
২০১৮ সালে মাদ্রাসাটি নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়। নতুন ভবনে আরো ক্লাসরুম, লাইব্রেরি এবং কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়। শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়ে ৭০ জন হয় এবং শিক্ষক সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে উন্নীত হয়।
বৃহত্তর কার্যক্রম:
২০১৯ সালে মাদ্রাসা বিভিন্ন সামাজিক ও দাতব্য কার্যক্রম শুরু করে। এলাকাবাসীদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, খাদ্য বিতরণ, দাওয়াহ্ কার্যক্রম এবং ইসলামিক সেমিনার আয়োজন করা হয়। ২০২০ সালে হিফজুল কোরআন প্রোগ্রাম চালু করা হয় যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা কোরআন মুখস্থ করতে পারে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জীবন জীবিকার কথা চিন্তাকরে চালু করা হয়েছে হাতে কলমে কৃষি শিক্ষা, আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য রয়েছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক ভাষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে Spoken English এর বিশেষ কোর্স চালু করা হয়।
বর্তমান অবস্থান:
বর্তমানে মাসজিদ ওমর এন্ড অলিভ ট্রি কোরআন একাডেমি একটি প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়ে ১৩০ জনে এবং শিক্ষক সংখ্যা ৮ জনে উন্নীত হয়েছে। মাদ্রাসাটি আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষায়ও সমান গুরুত্ব দেয়।
সবশেষ বলা যায় ২০১৭ সালে সূচনা হওয়া মাসজিদ ওমর এন্ড অলিভ ট্রি কোরআন একাডেমি আজ একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। মাদ্রাসাটির শিক্ষার মান এবং সমাজসেবার কার্যক্রম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক।